আজ কলকাতার ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। জনসমাবেশে সরগরম হল একুশতম “২১শে”। সৌমিত্র রায়ের গানে শুরু শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান। ক্রমশ জনসমাগম বাড়ল শহীদ দিবসের মঞ্চের সামনে। সভাস্থল কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা। মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবারই এই সমাবেশমঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন তৃণমূলনেত্রী। শহীদ উদ্যানের শিলান্যাস করলেন তিনি।
মঞ্চঘিরে ভিড় ছিল টলিউড তারকাদের। শুভশ্রী ও দীপঙ্কর দে উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের সামনে। বক্তব্য রাখলেন সাংসদ দেব। সভামঞ্চেও উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। ঋণগ্রস্ত বাংলাকে কেন্দ্রের সাহায্যের আবেদন জানালেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে ‘বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ’ — শহিদসভায় দলের কর্মীদের কাছে রাজনৈতিক লাইন স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। ‘মূল্যবোধ সম্পন্ন বামপন্থীদের’ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মমতা কংগ্রেসের সম্পর্কে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি।
মঞ্চে কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ও এক বাম বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। বক্তব্য রাখলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিহাদ হাকিম।
মোদী হাওয়ায় ভর করে গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। সেই ফলের ভিত্তিতে রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রধানবিরোধী দল এখন তারাই। বিজেপির উত্থান যে তৃণমূল নেত্রীকেও চিন্তায় রেখেছে তা বোঝা গেল ধর্মতলার সভায়। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার প্রচার থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। সোমবার সেই অবস্থানকেই দলের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক লাইন হিসেবে তুলে ধরলেন তিনি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রে শাসন করছে যে বিজেপি সে তৃনমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গকে ঋণমুক্ত হতে সাহায্য করবে কি না তা বলা মুশকিল। করলেও নিজের সুবিধা মত করবে — রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস।
You must log in to post a comment.